আলা উদ্দিন: চাঁদগাজী ভূঁইয়া মসজিদটি ফেনী জেলার একটি প্রাচীন মসজিদ। এটি “চাঁদ খাঁ মসজিদ” নামেও পরিচিত। বার ভূঁইয়াদের স্মৃতিবিজড়িত মুসলিম স্থাপত্য নির্দশন এই চাঁদগাজী ভূঁইয়া জামে মসজিদ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মসজিদটি দৈর্ঘ্যে ৪৮ ফুট ও প্রস্থে ২৪ ফুট এবং উচ্চতায় ৩৫ ফুট। মসজিদটির ওপরে রয়েছে বড় তিনটি গম্বুজ। দেয়ালগুলো বেশ চওড়া।মসজিদের সামনে একটি আজানখানা (মিনার) রয়েছে। মসজিদে প্রবেশের জন্য মোগল স্থাপত্য নিদর্শনে তৈরি কারুকার্যখচিত দরজাটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কাঠের দরজা তৈরি করা হয়েছে। প্রাচীন মসজিদটির ভেতরে প্রবেশ করলে বিভিন্ন কারুকার্য চোখে পড়ে।
মসজিদের সামনের অংশে শ্বেত পাথরের নামফলকে আরবিতে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ও কালিমা তাইয়্যেবা এবং ফারসি ভাষায় কবিতার ছন্দে মসজিটির নির্মাণকারী ও হিজরি সালের বর্ণনা রয়েছে। স্থানীয়দের বর্ণনামতে, বাংলার বার ভূঁইয়াদের অন্যতম চাঁদগাজী ভূঁইয়া ছাগলনাইয়ার চাঁদগাজী এলাকায় ১১২২ হিজরিতে এ মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। অর্থাৎ চলমান হিজরি সন (১৪৪১) অনুযায়ী এই মসজিদটির বয়স ৩১৯ বছর।
গম্বুজগুলো ব্যতিত এই মসজিদের দেয়ালের উপর সমান্তরালভাবে ১২ টি মিনার রয়েছে। চাঁদগাজী ভূঁইয়া মসজিদটি ১৯৮৭ সালে প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের গেজেটভুক্ত হয়। তিনশত বছরের প্রাচীন এই মসজিদটিতে এখনো প্রত্যহ ৫ ওয়াক্ত সালাত অনুষ্ঠিত হয়।
মসজিদটির রক্ষনাবেক্ষনে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন স্থানীয়রা।