স্টাফ রিপোর্টারঃ সোনাগাজীতে মঙ্গলবার দুপুরে পৃথক ঘটনায় নূর নাহার (৩০) ও মনোয়ারা বেগম (৪৫) নামে দুই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য তাদের মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।এ জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকালে চরচান্দিয়া ইউনিয়নের চরচান্দিয়া গ্রামের ৭ নম্বর স্লুইস গেট এলাকার চান মিয়া ফরায়েজী বাড়ির মোবারক হোসেনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে দুপুরে তাদের বাড়ির পুকুর পাড়ে একটি আমগাছের সাথে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো অস্থায় ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে দুই কন্যা সন্তানের জননী। পরিবারের দাবি, সে গত কয়েক বছর ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল।
অপরদিকে সোনাগাজী বাজারের মাছ বাজারের গলিতে হাজি নাছির ম্যানশনে নুর নাহার বেগম নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবি, তার স্বামী সমির উদ্দিনের অত্যাচার নির্যাতন সইতে না পেরে সে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। তিনি চার সন্তানের জননী। গত ১৩ বছর পূর্বে চরচান্দিয়া গ্রামের বারি মিয়ার বাড়ির মফিজুর রহমানের কন্যা নূর নাহারের সাথে তার ভাই এনামুল হকের ছেলে সমির উদ্দিনের বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের জেরে সমির স্ত্রীকে প্রায় সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। গত দু-তিন বছরে সে আরো তিনটি বিয়ে করেছে। এর মধ্যে দুজনকে তালাক দিয়েছে। গত কয়েকদিন পূর্বে একটি বিয়ে করেন সমির।এ নিয়ে তার স্ত্রীর সাথে ঝগড়া হয়। মঙ্গলবার সকালে নূর নাহারের ছোট ভাই তার বাসায় গিয়ে তার মরদেহ দেখতে পায়। তার পাশে ছিল তার সাত মাস বয়সী শিশুকন্যা।
স্বামী সমিরের দাবি, সে তার নতুন স্ত্রীকে নিয়ে নতুন শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন। তার স্ত্রী ডায়রিয়া জনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা স্বামীর অত্যাচার সইতে না পেরে বিষপানে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করতে পারে।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. সাজেদুল ইসলাম পলাশ ফেনীর জমিন অনলাইন কে দুই গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।